দারুচিনি গুড়ার উপকারিতা
দারুচিনি গুড়া, (ইংরেজি নাম: Cinnamon) (বৈজ্ঞানিক নাম: (Cinnamomus Zeylanicum) একটি মসলা বৃক্ষের নাম। স্বাভাবিক পরিবেশে এই বৃক্ষের উচ্চতা দশ থেকে পনের মিটার পর্য্যন্ত হয়ে থাকে। আদি নিবাস শ্রীলংকায়। আজ কাল ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ ও চীন প্রভৃতি দেশে ও উৎপাদিত হচ্ছে। দেখতে কিছুটা তেজপাতা বৃক্ষের মতো এই বৃক্ষের চামড়াটা মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দারুচিনির সুগন্ধ যুক্ত তৈল ও পাওয়া যায়।
দারুচিনি একটা সুগন্ধযুক্ত মশলা হিসাবে প্রায় প্রতিটা রান্নাঘরে দেখতে পাওয়া যায়। দারুচিনির জোরালো সুগন্ধ এবং স্বাদ একে মিষ্টি এবং মশলাদার বিনোদনের একটা খাঁটি ফোড়ন হিসাবে উপস্থিত করে। কিন্তু এই মশলা শুধুমাত্র রান্নাঘরের আলমারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই।
আয়ুর্বেদীয় এবং ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন-এ (TMC) বহুদিন যাবত দারুচিনি এর নিরাময় করার উপযোগিতার জন্য উঁচুদরের মান্যতা পেয়ে আসছে। পরম্পতাগত পশ্চিমী ঔষধ পদ্ধতিও এই মশলাকে উচ্চস্তরের মান্যতা দেয়। সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলি অনুযায়ী, লবঙ্গের পরেই দারুচিনি হল সর্বোত্তম অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটা জানতে পেরে আপনাকে আগ্রহী করে তুলতে পারে যে এই মশলার একটা দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।
দারুচিনির প্রাচীনতম ব্যবহার প্রায় 2000-2500 BC আগেকার সময়ের। ইহুদী (Jewish) বাইবেলে দারুচিনি একটা প্রলেপ লাগাবার মাধ্যম হিসাবে উল্লিখিত আছে এবং এটা মিশরীয়দের (Egyptians) দ্বারা তাঁদের শবদেহকে মমিতে পরিণত করার কাজেও ব্যবহৃত হ’ত। রোমে, শবদেহের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে দারুচিনি থাকতো। বস্তুত:, রোমে এই মশলা এতোটা উচ্চ মূল্যবান ছিল যে এটা শুধু ধনী ব্যক্তিদের একটা পণ্য হিসাবে থাকতো।
কেনো হলি দারুচিনি গুড়া আলাদা?
১। গুঁড়া করার জন্য ব্যবহৃত দারুচিনি আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়। নিজেরা সংগ্রহ করা হয় বলে এর গুণগত মান নিয়ে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ থাকে না।
২। সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরিষ্কার করে শুকানো হয়। এরপর ভাঙানো হয়।
৩। রঙ সহ বিভিন্ন প্রকার কমদামি উপকরণের মিশ্রণ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ।
৪। বাজারের খোলা পণ্যে অনেক ক্ষেত্রেই কাঠের গুঁড়া ও আটার ভুষির মতন উপাদানের মিশ্রণ যোগ করে গুঁড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়। ফলে এর গুণগত মান তখন বিঘ্নিত হয়। কিন্তু খাস ফুডের ধনিয়া গুঁড়ায় এসব কিছু মেশানো হয় না। বরং খাঁটি ধনিয়া ভাঙিয়ে প্রস্তুত করা হয়।
৫। এই দারুচিনি গুঁড়া BSTI (Bangladesh Standard and Testing Institution) অনুমোদিত।
হলি দারুচিনি গুঁড়ার কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত প্রত্যেকটি ধাপ নিজস্ব টিম দ্বারা মনিটরিং করা হয়। ফলে মান নিয়ে নিঃসঙ্কোচ থাকা যায়। আর প্যাকেজিং এর তারিখ হতে এক বছর পর্যন্ত এর মেয়াদ থাকে। ফলে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করলে অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া অন্য কোন অপদ্রব্যের সংমিশ্রণ করা হয় না বলে এর স্বাস্থ্য ঝুঁকিও নেই বললেই চলে।
দারুচিনি গুড়া উপকারিতা ও দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম
হজমের সমস্যা, মেয়েদের মাসিকের সমস্যা, ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ও চর্মরোগ সহ বহু রোগ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় দারুচিনি সেবনে। ডায়রিয়া ও যক্ষার মতো বিভিন্ন ভাইরাস জনিত রোগও সেরে উঠে দারুচিনি খাওয়ার মাধ্যমে। তবে অনিয়মিত খেলে তেমন উপকার হয় না, নিয়মিত খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম আসলে কি? চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ
ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম – দীর্ঘদিন ক্ষুধা কম লাগার ফলে শরীর হালকা হতে শুরু করে। তবে দারুচিনির মিশ্রন খেলে ক্ষুধা বাড়বে, খাবারে রুচি ফিরে আসবে। এক্ষেত্রে 500 মিলিগ্রাম দারুচিনি, 500 মিলিগ্রাম শুঁথি পাউডার ও 500 মিলিগ্রাম এলাচ পিশে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। খাবার আগে সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রন সেবন করুন।
হেঁচকি সমস্যায় দারুচিনির উপকারিতা – হঠাৎ হঠাৎ হেঁচকি ওঠা খুবই স্বাভাবিক। তবে সবসময় হেঁচকি ওঠা মোটেও স্বাভাবিক নয়। আর এমন হেঁচকির সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। তাদের জন্য দারুচিনি হতে পারে একটি আদর্শ ঔষধ। এক্ষেত্রে প্রতিবার ১০-২০ মিলি দারুচিনির ক্লথ পান করতে পারেন । সাথে সাথেই অন্যরকম স্বস্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।
বমি বন্ধ করতে দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম – বমি বন্ধ করতে দারুচিনি অত্যন্ত কার্যকরী। এক্ষেত্রে দারুচিনি এবং লবঙ্গের একটি মিশ্রন তৈরি করুন। বমি শুরু হলে ১০-২০ মিলি পরিমান মিশ্রন খেয়ে নিন। এতে দ্রুত বমি বন্ধ হবে।
চোখের রোগে দারুচিনির ব্যবহার – দিন দিন মানুষের চোখের সমস্যা বেড়েই চলছে। চোখ টলতে থাকার সমস্যাটি এখন অনেকের। এতে বেশি বেশি চোখের পলক পড়ে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়। প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ দারুচিনি তেল চোখের পাতায় লাগান। এতে অতিরিক্ত পলক পড়া বন্ধ হবে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
দাঁতের ব্যথার জন্য দারুচিনির ব্যবহার – আপনি কি দাঁতের ব্যথায় ভুগছেন? দারুচিনি আপনার দাঁত ব্যথা দূর করতে পারে সহজেই। প্রথমে দারুচিনির তেল সংগ্রহ করুন। তারপর তেলের ভিতর তুলো ভিজিয়ে ব্যাথাযুক্ত দাঁতে মেখে দিন। এতে দাঁত ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। তাছাড়া দাঁত পরিষ্কার ও চকচকে করতেও দারুচিনি অনেক কার্যকরী। ৫-৬ টি দারুচিনির পাতা পিষে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন, দাঁত পরিষ্কার ও চকচকে হবে।
মাথাব্যথা উপশমে দারুচিনির উপকারিতা – মাথাব্যথা থেকে আরাম পেতে দারুচিনি কাজ করে ম্যাজিকের মতো। দারুচিনির আট-দশটি পাতা পিষে পেস্ট বানিয়ে নিন। ব্যাথার সময় এই পেস্ট মাথায় লাগান। এতে ঠান্ডা বা গরমে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই। তবে মাথাব্যথা কমে গেলে, পেস্টটি অবশ্যই ধুয়ে নিন।
একটু ঠাণ্ডা লাগলেই অনেক সময় মাথা ব্যথা করে। এটি মূলত ঠান্ডা জনিত মাথাব্যথা। এক্ষেত্রে আপনি পরিমাণমতো দারুচিনি তেল নিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। সাথে সাথেই অনেক আরাম পাবেন ইনশাআল্লাহ।
কেউ কেউ ভুগে থাকেন স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যায়। এক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ দারুচিনি তেল মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যায় উপকার পাবেন।
সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য দারুচিনির ব্যবহার – দারুচিনি পিষে পানিতে মেশান, তারপর তা গরম করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট ঠান্ডার জন্য খুবই কার্যকরী। তাছাড়া আপনি যদি দারুচিনি পিষে রস বানান, আর সেই রস মাথায় লাগান, তাতেও সর্দি কাশি অনেকটাই কমে যাবে।
আশা করি ”দারুচিনি গুড়া ” নিয়ে লেখাটি আপনার ভালো লাগেছে ।
আপনি যদি 100% ভেজাল মুক্ত দারুচিনি গুড়া নিতে চান,তাহলে (হলি ফুড্স) আমরা আপনার জন্য ভালো মানের পণ্য বিক্রয় করি । আপনারা নিরভয়ে যাবতীয় মসলা আমাদের কাছে থেকে নিতে পারেন ।
ম্যানেজার এর নম্বর : 01781-471177
বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে ডেলিভারি করা হয়!
তাই দেরি না করে এখনি অর্ডার করুন ।