ধনিয়া গুড়ার উপকারিতা

ধনিয়া গুড়ার উপকারিতা

ধনিয়া গুড়া বা ধনে (বৈজ্ঞানিক নাম): (Coriandrum sativum)একটি সুগন্ধি ঔষধি গাছ। এটি একটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় উদ্ভিদ। এর বীজ থেকে বানানো তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়। বঙ্গ অঞ্চলের প্রায় সর্বত্র ধনের বীজ খাবারের মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ধনের পাতা এশীয় চাটনি ও মেক্সিকান সালসাতে ব্যবহার করা হয়।

ধনিয়া (Coriander) গুঁড়া ছাড়া দৈনন্দিন রান্নার কথা ভাবাই যায় না এমন পরিবার বেশ কমই আছে। এটি ধনে নামেও পরিচিত। রান্নায় এক চমৎকার স্বাদ ও সুঘ্রাণ যুক্ত করতে এই মসলার জুড়ি মেলা ভার। এর আদি নিবাস মূলত দক্ষিন – পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা। সুগন্ধি মসলা হিসেবে এর বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে। পাশাপাশি এর ঔষধি গুণাগুণের জন্যেও এর চাহিদা বিশেষ লক্ষ্যনীয়।

→একাধিক রোগ সারাতে দারুণ কাজে আসে ধনিয়া বীজ। এই মশলাটি ছাড়া আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য রান্না অসম্ভব । ঝোল হোক, কী ঝাল; সব কিছুতেই ধনিয়া বীজের অবাধ বিতরণ। রান্নার স্বাদ, গন্ধ বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। এখানেই শেষ নয়, রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি ছাড়াও শরীর ভালো রাখতেও ধনিয়া বীজ দারুণ কাজে আসে। তাই ধনিয়া পাতার পরিবর্তে ধনিয়া বীজে বেশি করে ব্যবহার করুন রান্নায়। দেখবেন নানাভাবে সুফল পাবেন।

কেনো হলি ধনিয়া (Coriander) গুঁড়া আলাদা?

১। গুঁড়া করার জন্য ব্যবহৃত ধনিয়া আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়। নিজেরা সংগ্রহ করা হয় বলে এর গুণগত মান নিয়ে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ থাকে না।
২। সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরিষ্কার করে শুকানো হয়। এরপর ভাঙানো হয়।
৩। রঙ সহ বিভিন্ন প্রকার কমদামি উপকরণের মিশ্রণ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ।
৪। বাজারের খোলা পণ্যে অনেক ক্ষেত্রেই কাঠের গুঁড়া ও আটার ভুষির মতন উপাদানের মিশ্রণ যোগ করে গুঁড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়। ফলে এর গুণগত মান তখন বিঘ্নিত হয়। কিন্তু খাস ফুডের ধনিয়া গুঁড়ায় এসব কিছু মেশানো হয় না। বরং খাঁটি ধনিয়া ভাঙিয়ে প্রস্তুত করা হয়।
৫। এই ধনিয়া গুঁড়া BSTI (Bangladesh Standard and Testing Institution) অনুমোদিত।

খাস ধনিয়া গুঁড়ার কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত প্রত্যেকটি ধাপ নিজস্ব টিম দ্বারা মনিটরিং করা হয়। ফলে মান নিয়ে নিঃসঙ্কোচ থাকা যায়। আর প্যাকেজিং এর তারিখ হতে এক বছর পর্যন্ত এর মেয়াদ থাকে। ফলে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করলে অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া অন্য কোন অপদ্রব্যের সংমিশ্রণ করা হয় না বলে এর স্বাস্থ্য ঝুঁকিও নেই বললেই চলে।

হলি ধনিয়া (Coriander) গুঁড়ার উপকারিতা :

১. ত্বকের রোগ সারায়, একজিমা, চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং প্রদাহ মতো সমস্যা কমাতে দারুণ কাজে আসে ধনিয়া বীজ। একমুঠো ধনিয়া বিজ নিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে ফেলুন প্রথমে। তারপর সেই পেস্ট ক্ষত স্থানে লাগান। দেখবেন অল্প দিনেই ত্বকের রোগ দূরে পালাবে।
২. চুলের বৃদ্ধিতে কাজে লাগে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই মশলাটি রাখলে চুল পড়া তো কমবেই, সেই সঙ্গে চুল শক্তপোক্তও হবে।
৩. জ্বর-সর্দি-কশি কমায় ধনিয়া বীজে রয়েছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, ফলিক এসিড এবং ভিটামিন সি। এই উপাদানগুলির সবক’টিই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি এমনকী জ্বরের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ধনিয়া বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. হজমক্ষমতা বাড়ায়হজমে সহায়ক পাচকরসের ক্ষরণে সাহায্য করে ধনিয়া বীজ। ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। তাই যারা বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন তারা খাবারের সঙ্গে অথবা সরাসরি ধনিয়া বীজ খাওয়া শুরু করুন। ভালো ফল পাবেন।
৬. কনজাংটিভাইটিসের প্রকোপ কমায় ধনিয়া বীজে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রয়েছে। যে কারণে এই মশলাটি কনজাংটিভাইটিসের পাশাপাশি চোখের বেশ কিছু সমস্যা কমাতে ভালো কাজে আসে।
৭. পিরিয়ড সম্পর্কিত নানা সমস্যা কমায় এই সময় অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয়? তাহলে আজ থেকেই খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এই মশলাটিকে। কারণ ধনিয়া বীজ এই ধরনের সমস্যা কমায়, সেই সঙ্গে পিরিয়ডের যন্ত্রণা হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ধনিয়া গুড়া বিবরণ

ধনে বীরুৎ জাতীয় তৃণ। এর পাতা ছোট, সবুজ, মসৃণ হয়। ডালপালা অনেক হয় ও দেখতে সরু।ছোট ছোট থোকায় থোকায় সাদা ফুল ফোটে। ফুল থেকে দানাকৃতির ফল হয়। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ হয়।

গুনাগুণ

  • পেটের সমস্যা দূর করে।
  • চুল ওঠা ও খুসকির সমস্যা দূর করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে।
  • ধনিয়া পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথা কমায়।
  • শীত পড়তে শুরু করেছে। এরইমধ্যে বাজারে উঠে গেছে ধনেপাতা। অনেকেই তরকারির স্বাদ বাড়াতে ধনেপাতা ব্যবহার করেন। আবার ভর্তায়ও জায়গা করে নেয় এই সুগন্ধি পাতা। এ তো গেল রসনাবিলাসের কথা। কিন্তু জানেন কি, খাবারে স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধনেপাতার রয়েছে একগুচ্ছ ঔষধি গুণ।

হেমন্তের হিমের পরশের সঙ্গে বাজারে উঁকি মারতে শুরু করেছে শীতের অতিথিরা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচা তেঁতুল, শিমের সঙ্গে দোকানীর ঝুড়ি উপচে উঠছে টাটকা ধনেপাতায়।

ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে বিরল ঔষধি নানা উপাদান যা রক্ত শোধন করে। খাদ্যাভ্যাসের দরুণ আমাদের শরীরে রোজ তিলে তিলে জমা হতে থাকে বেশ কিছু ভারী ধাতু এবং বিষাক্ত দূষণকারী পদার্থ।
এর থেকে শরীরে বহু দূরারোগ্য অসুখ যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, মস্তিষ্কের বিভ্রাট, মানসিক রোগ, কিডনি ও ফুসফুসের অসুখ এবং হাড়ের দুর্বলতা তৈরি হতে পারে। ধনেপাতা রক্তপ্রবাহ থেকে এই সমস্ত ক্ষতিকর উপাদান দূর করে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

ধনেপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ। এছাড়া ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে-র জোগান দেয় এই পাতা। শুধু তাই নয়, এই উদ্ভিদ অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাংগাল এবং যে কোনও চুলকানি ও চামড়ার জ্বলনে অব্যর্থ ওষুধ। দিল্লির এইমস-এর গবেষণাগারে রিউম্যাটিক আর্থারাইটিস রোগে আক্রান্ত ইঁদুরের পায়ে ধনেপাতার রস প্রবেশ করালে তার শরীরের জ্বলন ও ফোলা ভাব দূর হতে দেখা গিয়েছে।

আশা করি ”ধনিয়া গুড়া ” নিয়ে লেখাটি আপনার ভালো লাগেছে ।
আপনি যদি 100% ভেজাল মুক্ত ধনিয়া গুড়া নিতে চান,তাহলে (হলি ফুড্স) আমরা আপনার জন্য ভালো মানের পণ্য বিক্রয় করি । আপনারা নিরভয়ে যাবতীয় মসলা আমাদের কাছে থেকে নিতে পারেন ।
ম্যানেজার এর নম্বর : 01781-471177

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে ডেলিভারি করা হয়!
তাই দেরি না করে এখনি অর্ডার করুন ।

https://holyfoods.net/holy-coriander-powder-jar-100-gm/

Leave A Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *