জিরা গুড়ার উপকারিতা

জিরা গুড়া

জিরা গুড়ার উপকারিতা

জিরা গুড়া নিত্য প্রয়োজনীয় মসলাগুলোর মধ্যে অন্যতম জিরা। রান্না করা খাবার সুস্বাদু করতে কিন্তু এর জুড়ি মেলা ভার। রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধি ছাড়াও জিরার আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। হলি ফুড আপনার জন্য নিয়ে এসেছে সর্বোৎকৃষ্ট মানের সুগন্ধি ও পরিস্কার জিরা।

জিরা গুড়ার ইতিহাস

জিরা খুব সম্ভবত পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের লেভান্তে উৎপত্তি লাভ করেছিল।প্রায় সহস্রাধিক বছর ধরে জিরা মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সিরিয়ায় প্রত্নতাত্ত্বিক খননে খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের জিরার বীজ পাওয়া যায়। প্রাচীন মিশরের নব্য সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানেও জিরার নমুনা পাওয়া গেছে। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় জিরা মশলা হিসেবে এবং মমীকরণের সংরক্ষক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
প্রাচীন ক্রিটের মিনোয়ান সভ্যতায় জিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলা হিসেবে বিবেচিত হতো। মিনোয়ান সভ্যতার শেষ যুগে বিভিন্ন প্রাসাদে জমাকৃত বস্তুর আর্কাইভে লিনিয়ার এ চিত্রলিপিতে লিখিত জিরার বর্ণনা পাওয়া যায়। প্রাচীন গ্রিসের অধিবাসীরা খাওয়ার সময় টেবিলে একটি কৌটায় জিরা রাখত (বর্তমান যুগে গোলমরিচ রাখার মতো)।

এই প্রথা আধুনিক মরক্কোতে অদ্যাবধি চলিত আছে। প্রাচীন রোমান সভ্যতাতেও জিরার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে কয়েক হাজার বছর ধরে রান্নার উপকরণ হিসেবে জিরার ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়া উপমহাদেশের রান্নায় ব্যবহৃত বিশেষ মশলার মিশেলেও জিরার ব্যবহার লক্ষণীয়।

স্প্যানীয় ও পর্তুগিজ ঔপনিবেশিকদের মাধ্যমে আমেরিকা অঞ্চলে জিরা পরিচিতি লাভ করে। পারস্য রন্ধনশৈলীতে কালো ও সবুজ জিরা ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে আবাদকৃত জিরার সিংহভাগ চাষ হয় ভারতীয় উপমহাদেশ, উত্তর আফ্রিকা, মেক্সিকো, চিলি ও চীনে। এছাড়াও, পাখির খাদ্য হিসেবে জিরা ব্যবহৃত হওয়ায় বিভিন্ন দেশে এটি রপ্তানি করা হয়। ফলে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযোজিত উদ্ভিদ হিসেবে জিরার আবাদ হতে দেখা যায়।

মশলা হলো তরকারির প্রাণ। নানান রকমের মশলায় খাবার হয় সুস্বাদু। তেমনি এক মশলা হলো জিরা। জিরার গুঁড়ো শুধু যে তরকারির স্বাদ বাড়ায় তা নয়। এটি খাবারে সুঘ্রাণ আনে। তবে কেল সুস্বাদু ও সুঘ্রাণের জন্য নয়, জিরা আপনি খেতে চাইবেন এর স্বাস্থগত উপকারের দিকগুলো জানলে।

ডায়াবেটিস:

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের বেশি করে জিরা খাওয়া দরকার। মসলাটি শুধু তাদের ডায়েটকে নিয়ন্ত্রণে রাখে না । একইসাথে রক্তে চিনির পরিমাণও কমিয়ে দেয়।

পৌষ্টিক স্বাস্থ্য:

জিরা পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। বদহজম, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা প্রভৃতি রোগ উপশমে জিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জিরা বমি বমি ভাব দূর করে। এছাড়া জিরাতে থাইমোল রয়েছে; যা পাকস্থলিতে এসিড উৎপাদন করে খাদ্য থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি লাভে সহায়তা করে।

দূষণরোধ:

জিরা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়ে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে যেতে পারে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে শরীর পায় সুরক্ষা।

ত্বকের সুরক্ষা:

লাল লাল ফুসকুড়ি, ব্রণ ইত্যাদি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য হয়। বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে গেলে ত্বকের উপর এর প্রভাব কমে আসে। জিরা পাচনতন্ত্রের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে ত্বকের সুরক্ষাও দিয়ে থাকে।

হাঁপানি:

হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীরা জিরা বীজের সুবাস নিলে ভালো উপকার পেতে পারেন।

মাসিক নিয়মিত করে:

যেসব নারীরা অনিয়মিত মাসিক সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য জিরা ভালো কাজ দেয়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

রক্তস্বল্পতার সমাধান করে:

জিরায় প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকায় তা হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে বাড়াতে সাহায্য করে। যারা রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য ভালো কাজ করে মসলাটি।

বয়স কমিয়ে দেয়:

তারুণ্য ধরে রাখতে জিরা খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কাজেই বয়সের ছাপ রুখতে মসলাটি কম-বেশি সব তরকারিতে খাওয়া ভালো।

acidity গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান:

রক্ত বিশুদ্ধকরণ:

গ্যাস্ট্রিকে সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে জিরা।

রক্তকে বিশুদ্ধ করতে জিরার বিকল্প নেই। প্রতিদিনের খাবারে জিরার গুঁড়া দিলে তা স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক ভালো।

ক্যান্সার প্রতিরোধক:

গবেষণায় দেখা গেছে, জিরাতে শক্তিশালী ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি পেট ও লিভার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব রাখতে পারে। এছাড়া জিরাতে বিদ্যমান এন্টি-ফ্রির্যা ডিকেলস উপাদান ক্যান্সারের বিস্তার রোধ করে।

এছাড়া কিডনি সমস্যাসহ খুশকি দূর করা, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা সমস্যা, হজমশক্তি বাড়ানো ও বিপাকীয় কার্যকলাপে ভূমিকা রাখে জিরা। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জিরা খাওয়ার বিকল্প নেই।

আশা করি ”জিরা গুড়া ” নিয়ে লেখাটি আপনার ভালো লাগেছে ।
আপনি যদি 100% ভেজাল মুক্ত জিরা গুড়া নিতে চান,তাহলে (হলি ফুড্স) আমরা আপনার জন্য ভালো মানের পণ্য বিক্রয় করি । আপনারা নিরভয়ে যাবতীয় মসলা আমাদের কাছে থেকে নিতে পারেন ।
ম্যানেজার এর নম্বর : 01781-471177

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে ডেলিভারি করা হয়!
তাই দেরি না করে এখনি অর্ডার করুন ।

https://holyfoods.net/holy-jeera-powder-jar-100-gm/

https://holyfoods.net/holy-jeera-powder-jar-100-gm/

Leave A Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *